Wednesday, November 20, 2024

রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০ দিন , পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পুতিনের



মঙ্গলবার (19th November 2024) ১০০০ দিন পূর্ণ করল রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাত। আর এই দিনেই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের স্পষ্ট ঘোষণা এবার থেকে পরমাণু শক্তিধর নয় এমন দেশেও হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। সম্প্রতি ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন অস্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট  জো বাইডেন । তার পাল্টা জবাব দিতেই পুতিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পুতিনের স্বাক্ষরিত নয়া পরমাণু নীতিতে বলা হয়েছে, কোন পরমাণু শক্তিধর দেশের সাহায্যে যদি রাশিয়ার মাটিতে পরমাণু শক্তিধর নয় এমন কোন দেশ হামলা চালায় তাহলে রাশিয়া সেই দেশে আক্রমণ চালাবে । পরমাণু শক্তি না হওয়ার সত্ত্বেও সেই দেশটিতে হামলা চালাতে পিছুপা হবে না রাশিয়া। এই নীতি চালু করার প্রক্রিয়া যদিও অনেকদিন আগে থেকেই শুরু করেছিল ক্রেমলিন। তবে জো বাইডেন  ইউক্রেনকে আমেরিকার দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিতেই নয়া পরমানু নীতিতে সিলমোহর দিলেন পুতিন।

 প্রথমবারের মতো রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস (ATACMS) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। এই হামলা নিয়ে এবার মুখ খুলেছে ক্রেমলিন।

প্রতিবেদন মতে, মার্কিন সরকার ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পরে এবং রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ১০০০ তম দিনে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন পুতিন ।


Contributed by:

Suchitra Roy

Suchitra is a Fifth Semester Hons. student studying Political Science (Hons.) at Maynaguri College.


News Source : somoynews.tv

Link:https://www.somoynews.tv

Image Courtesy: https://www.atlanticcouncil.org/blogs/ukrainealert/ukraine-crisis-deterring-putin-is-expensive-but-much-cheaper-than-war/

Tuesday, November 19, 2024

Iran & Israel conflict



ইরান আর ইসরায়েল এ বর্তমান যুদ্ধ সৃষ্টির কারণ ,  ছায়া যুদ্ধের পর এবার সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হলো ইরান আর ইসরায়েল !

বহুকাল থেকেই  ইরান একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করে এসেছে ; ইরান আর ইসরায়েল  দুটোই ক্ষমতাশালী রাষ্ট্র বহুদিন ধরেই  রাষ্ট্র দুটির মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে যার ফল বর্তমান এই  ভয়াবহ যুদ্ধ। ইরান এর সাথে ভারত এর ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে , উল্টো দিকে ইসরায়েল এর সাথে আমেরিকা আর একটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রয়েছে ।                                       

তবে বর্তমানে দুই রাষ্ট্র কেই  অস্ত্র ত্যাগ করতে  অনুরোধ করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ , কারণ দীর্ঘদিন ধরে যদি এই যুদ্ধ চলতে থাকে তবে দুই রাষ্ট্ররই  ক্ষয় ক্ষতি চড়ম সীমায় পৌছে যাবে । বিগত এক বছর ধরে ইরান ইসরায়েল এ প্রায় ৪০০ টা মিসাইল নিক্ষেপ করে, যার পরিবর্তে বর্তমানে কাউন্টার  অ্যাটাক করছেন ইসরায়েল  বর্তমান ঘটনা সূত্রে জানা যায় যে ইরান এর বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি আর সেনাবাহিনী অফিসে ও হামলা করেন ইসরায়েলি সেনা।          

তবে বর্তমানে রাষ্ট্র সংঘর খবর সূত্রে যা জানা যায় ইসরায়েল কাউন্টার অ্যাটাক করার ফলে নিজের ক্ষমতা কে বোঝানোর জন্য ইরানি রাষ্ট্র সচিব  যুদ্ধে লিপ্ত হয় । মধ্যপ্রাচ্যের ইরান ৫ টি দেশে বর্তমান এ আতঙ্কের মুখে, কারণ সেখানে মিসাইল হামলার হুমকি দেন ইরান ।

এ ছাড়া এই বিষয়ে ভারতের এর প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনি ইরান ইরান এর মন্ত্রী সভা ভ্রমণ করেন, তবে ভারত এর সাথে দুই রাষ্ট্র এর আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক  রয়েছে , আর বলা চলে এখনও অবধি ভারত কোন রাষ্ট্র এর পাশে দাঁড়াবে সেই খবর এখনও অজানা।


Contributed by:

Sheuli Roy

Sheuli is a Fifth semester student studying Political Science Hons. at Maynaguri College.

Source: TV9 Bangla 

Link:https://www.youtube.com/live/ohEMgPtNFj0?si=vpNt3p-v1kCNqCrD

Image Courtesy: The Economic Times, 

Link: https://img.etimg.com/thumb/msid-113902012,width-210,height-158,imgsize-243416,resizemode-75/istock-1743104649.jpg

Wednesday, November 13, 2024

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ব্যালট কাগজে স্থান পেল বাংলা ভাষা… ..

 বর্তমানে সমস্ত বিশ্বের মানুষ যে বিষয়টির ওপর নজর রেখেছিল  তা হল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও উন্নত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। 

এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি পদে ফেরার দৌড়ে, অন্যভাবে বলা যায় হোয়াইট হাউসের  দৌড়ে ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসের। বর্তমানে বলাই যায় ভারত ও ভারতীয়রা যে বিশ্ব দরবারে  এক উল্লেখযোগ্য আধিপত্য বা নিজের জায়গা তৈরি করেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।

তবে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে ভারতীয় দের বিশেষ করে বাঙালিদের গর্ব করার বিষয় রয়েছে সেটা কী জানেন ?এবার শুধু ভারত আর ভারতীয় নয় এবারে বিশেষ করে বাঙালিদের বাংলা ভাষা জায়গা পেয়েছে আমেরিকান  রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যালট পেপারে । শুধু তাই নয় ভারতীয় ভাষা হিসেবে একমাত্র জায়গা করে নিয়েছে এই বাংলা ভাষা। 

এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো নিউইয়র্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপারে বাংলা ছাড়াও আরো অন্য তিনটি ভাষা স্থান পেয়েছে। যেমন- কোরিয়ান, স্প্যানিশ, চিনা ভাষা।এক্ষেত্রে নিউইয়র্কে প্রায় অনেক   বাঙালি মার্কিন বসবাস করেন।  তাদের  সুবিধার্থেই ব্যালট পেপার সহ নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য  নির্দেশাবলীতে বাংলা ভাষার ব্যাবহার করা হয়েছে।  এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে  একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সর্বপ্রথম ২০১৩ সালে বাংলা ভাষার অন্তভুক্তি ঘটেছিল।

এপ্রসঙ্গে নিউইয়র্ক শহরের বোর্ড অর ইলেকশনস্ -এর ডিরেক্টর মাইকেল জে রায়ান জানিয়েছেন - ইংরেজি ভাষার বাইরেও অন্যান্য সাধারন মানুষের সুবিধার্ধে আরও চারটি অন্যান্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন- কোরিয়ান, স্প্যানিশ, চীনা এবং ভারতীয় ভাষার মধ্যে বাংলা ।  সবমিলিয়ে  বলাই যায় বাঙালি তথা ভারতের সঙ্গে যে আমেরিকার সুমধুর সম্পর্ক, তাতে একটি  সেতু হিসেবে কাজ করবে এই বাংলা ভাষা।

Contributed by:

Nimai Sarkar


Nimai is a Fifth semester student studying Political Science Hons. at Maynaguri College.


Source: News 18Bangla

Link: https://bengali.news18.com/news/international/us-election-2024-ballot-papers-in-newyork-city-to-have-candidate-names-in-bengali-arc-1933282.html

Tuesday, November 12, 2024

INDIA & CHINA AGREEMENT

 

·   


 India and China -

India has a strained relation with her neighbour, China, and henceforth maintained a neutral position in taking decisions concerning China. Moreover, the recent clashes that took place in 2020,between the two nations were due to territorial disputes. China had claimed that the de facto border, LAC, was under their governing territory and vice versa. Which then led to a face-off between the two armies of that region and caused deaths from both sides.

Looking from a vantage point, however, both of the nuclear neighbours have accused each other of trying to seize territory along their de facto border, also known as the Line of Actual Control(LAC).

 Agreement -

An agreement has taken place recently leading to a potential thaw to the hostility between both the neighbours. This agreement took place on the sidelines of the BRICS summit in the Russian city of Kazan at the end of October between the two heads of the state, Indian Prime Minister Narendra Modi and Chinese President Xi Jinping.

In a media briefing, Foreign Secretary of India Vikram Misri said that this agreement will resolute the remaining friction points between the nations.

·         Aftermath -

 After four years of territorial rivalry, related to the contested high-altitude border, the two nations have come to a temporary peace signalling to the de-escalation of tensions. An immediate aftermath of the agreement was the disengagement of 80 to 90 percent of the troops of both the nations from the Depsang and Demchok in Eastern Ladakh region. Patrolling Rights: The two sides have agreed on the modalities of patrolling along the LAC, paving the way for a reduction in tensions and a decrease in the number of troops deployed in the area.

Security experts in India accepted the latest agreement to de-escalate tensions, but remarked that Deep –seated mistrust between the neighbours will continue to strain the bilateral ties. 

·         Sources -

1. Image Courtesy: https://images.indianexpress.com/2024/10/Prime-Minister-Narendra-Modi-with-Chinese-President-Xi-Jinping-on-the-sidelines-of-the-BRICS-Summit-in-Kazan.-Photo-AP1.jpg?w=640

2. Information is referenced from the following website: https://www.dw.com/en/india-china-border-dispute-can-the-peace-last/a-70712678

 
Contributed by:
Arijit Singha Roy

Arijit is a Fifth semester student studying Political Science Hons. at Maynaguri College.

Thursday, February 29, 2024

তল্লাশি (SEARCH)

তল্লাশি বা (Search) হল মূলত একটি নির্দিষ্ট FIR করার পর সেই নির্দিষ্ট FIR এর সঠিক তথ্য ও প্রমানের উদ্দেশ্যে পুলিশকে তল্লাশি বা Search করতে হয় ।

আজ আমরা জানব তল্লাশি বা (Search) সম্পর্কে। 

১. তল্লাশি বা (Search) কী?

২.তল্লাশির শ্রেনীবিভাগ?

৩.তল্লাশি পরোয়ানা কী?

৪.কী কারনে Search Warrant ইস্যু করা হয়?

৫.Court- এর বিনা নির্দেশে তল্লাশি কী?

৬. কোন কোন ক্ষেত্রে Court- এর নির্দেশ ছাড়াই তল্লাশি করা যেতে পারে?

৭.কোন কোন স্থানে তল্লাশি চালানো যেতে পারে?

 

১. তল্লাশি বা (Search) কী?

 

তল্লাশি বা (Search) হল একটি তদন্ত চলাকালীন আইনি প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের নথি ও নানা ধরনের দ্রব্যের প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিধি অনুযায়ী যাঁদের কাছে সেই নির্দিষ্ট নথি ও দ্রব্য গুলি রয়েছে তাঁর দায়িত্ব বিচার বিভাগের হাতে বা থানায় যথাস্থানে জমা করে দেওয়া।  কিন্তু অনেকসময় সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই নথি ও দ্রব্য জমা করেন না। সেক্ষেত্রে Police Officer কে তল্লাশি বা (Search) করতে হয়। এই প্রক্রিয়াকে তল্লাশি বা (Search) বলা হয় ।

২.তল্লাশির শ্রেনীবিভাগ:

এই তল্লাশি বা (Search) মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা-

(1) Searching With Warrant,

(2)Searching Without Warrant.

 ৩.তল্লাশি পরোয়ানা বা (Searching With warrant) কী?

তল্লাশি পরোয়ানা বা (Searching With Warrant) হল সাধারণত অনেকসময় দেখা যায় যে একটি তল্লাশি বা (Search) -এর ক্ষেত্রে Courth এর অনুমতি বা নির্দেশের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ তল্লাশি পরোয়ানা হল একটি লিখিত নির্দেশ যা Court -এর থেকে পুলিশ অফিসারকে দেওয়া হয় ।

৪.কী কারনে Search Warrant ইস্যু করা হয়? 

১.Court মনে করছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি শমন জারি করা সত্ত্বেও হাজিরা দেবেন না বা দরকারি নথি পেশ করবেন না। সেক্ষেত্রে Court Warrant জারি করে।

২.কোনো নথি বা দ্রব্যের অনুসন্ধানের জন্য Court warrant জারি করতে পারেন।

৩. আবার Court যদি মনে করেন  কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় বা এলাকায় চুরির সম্পত্তি বা কোনো নথি লুকানো আছে। এক্ষেত্রে Court  Warrant জারি করতে পারেন ।

৪.Court মনে করছেন যে কোনো ব্যক্তিকে বিশেষ করে কোনো মহিলা বা শিশুকন্যাকে অপহরন করা হয়েছে ও তাঁর খোঁজ করা প্রয়োজন । সেক্ষেত্রেও Courth Search Warrant ইস্যু করতে পারেন।

৫. এছাড়া Court Warrant -এ উল্লেখ থাকে যে পুলিশ ঠিক কোন কোন স্থানে তদন্তের স্বার্থে তল্লাশি করতে পারেন।

এক্ষেত্রে বলা ভালো যে, Crpc-এর Section- 93 (1) অনুসারে Court সবসময় Search Warrant ইস্যু করতে বাধ্য নন, তবে মামলার অবস্থা বিবেচনা করে Search Warrant ইস্যু করতেই পারেন।

 ৫.Court- এর  বিনা নির্দেশে তল্লাশি কী?

অনেক সময় আবার এটাও লক্ষ্য করা  যায় যে,  তদন্তের  প্রয়োজনে Search Warrant ছাড়াও পুলিশ অফিসাররা তল্লাশি চালাতে পারেন। সেক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারকে পরবর্তী সময় Court -এ জবাবদিহি করতে হয়। এটি Searching Without Warrant নামেও পরিচিত ।

৬. কোন কোন ক্ষেত্রে Court- এর নির্দেশ ছাড়াই তল্লাশি করা যেতে পারে?

১.যদি পুলিশ অফিসারের কাছে Arrest Warrant থাকে তাহলে পুলিশ অফিসার Search Warrant ছাড়াই তল্লাশি চালাতে পারেন।

 ২.অনেক সময় দেখা যায়, Search Warrant ছাড়া তল্লাশি করলেও সেক্ষেত্রে পুলিশকে Courth-এ জবাবদিহি করতে হয় যে কেনো Warrant ছাড়া পুলিশ অফিসার তল্লাশি করতে বাধ্য হয়েছেন।

 ৩. থানার Officer in Charge বা তদন্তকারী অফিসার যদি মনে করেন ,

একটি নথি বা প্রমান তাঁর এলাকায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে এবং সেটা তল্লাশি চালাতে বিলম্ব হলে তদন্তের ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে Officer in Charge Warrant ছাড়া তল্লাশি চালাতে পারেন।  

আবার, ব্যাক্তি তল্লাশি করবার ক্ষেত্রে Police Officer  দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন -

প্রথমত, সেই  নিদিষ্ট ব্যক্তির কাছে কী কী রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করা। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির সংশোধনাগারে সাজা শেষে তাকে সবটা  তালিকা অনুযায়ী  ফিরিয়ে দেওয়া।

 দ্বিতীয়ত, Police Officer- রা অনেক সময় স্থান তল্লাশির ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে  সন্দেহভাজক বলে মনে হলে সেই নির্দিষ্ট  ব্যক্তির Search করতে পারেন ।

 ৭.কোন কোন স্থানে তল্লাশি চালানো যেতে পারে?

নিম্নলিখিত স্থানে তল্লাশি চালানো যেতে পারে। যথা- বাড়ি, ঘর, তাঁবু, গাড়ি, বা জলযান।


সূত্র: গনতান্ত্রিক চেতনা ও মৌলিক আইন, গৌতম মুখোপাধ্যায়

Contributed by:

Nimai Sarkar

+

Nimai is a fourth semester student studying Political Science Hons. at Maynaguri College.


Wednesday, February 14, 2024

COP - 28 এ ভারতের ভূমিকা


৩০ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংযুক্ত আরব আমিরশাহী রাষ্ট্রপতি এবং আবুদাবির শাসক মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আমন্ত্রণে ওয়ার্ল্ড ক্লাইমেট একশন সামিটে যোগ দিতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুবাই সফর করেছিলেন। ওয়ার্ল্ড ক্লাইমেট একশন সামিট হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত রাষ্ট্র সংঘ ফ্রেমওয়ার্ক। ২৮ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হলোCOP 28। এবারে এই সামিটে 200 টি দেশের ৭০০০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শিল্প ও অ্যাডভান্সড প্রযুক্তি মন্ত্রী তথা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ও বিশেষ দূত সুলতান আহমেদ আল জাবেদ এই বৈঠকে সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এই সামিটের প্রধান বিষয়বস্তু: 

1. ২০৩০ সালের পূর্বে শক্তি স্থানান্তর এবং নিঃসরণ হ্রাস দ্রুততার সাথে ত্বরান্বিত করা।

2. জলবায়ু‌ অর্থায়ন রূপান্তর করুন।

3. সকলকে কনফারেন্স অফ পার্টিস এর উদ্দেশ্যে একত্রিত করা।

COP28 এ ভারতের ভূমিকা:

১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুবাইতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সভাপতিত্বে ২০২৩ সালের জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনcop 28 এর বিশ্ব জলবায়ু অ্যাকশন সামিটের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। উচ্চ স্তরের সেগমেন্ট এর উদ্বোধনে একটি বিশেষ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু লক্ষ্য পূরণের ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী জলবায়ু প্রতিশ্রুতি এবং অর্জন গুলি তুলে ধরেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে গ্রিন ক্রেডিট ইনিশিয়েটিভ যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় জলবায়ু পদক্ষেপের জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি বলেন যে -

1. দেশগুলিকে অবশ্যই তাদের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।

2. দেশগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বৈশ্বিক কার্বন বাজেট উন্নয়নশীল দেশগুলো ন্যায্য অংশ থাকতে হবে।

3. প্রধানমন্ত্রী ২০২৮ সালে ভারতে COP33 আয়োজন করার প্রস্তাব করেছিলেন।

এই সামিট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

1. ভারত এই বৈঠকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন নিঃসরণে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে যা খুবই উদ্বেগের

2. এই সামিটে Loss and Damage তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো, যার মূল্য ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার

3. এই সামিটে COP 28 সভাপতিত্বে সূচনা করা হলো জলবায়ু , পুনরুদ্ধার এবং শান্তির ওপর ইউএই ঘোষণাপত্র।

 

Contributed by : 

Gargi Chakraborty



Gargi is a Sixth Semester student studying Political Science Hons. at Maynaguri College.

Source:  About COP 28 - UNFCCC

Link: https://unfccc.int/process-and-meetings/conferences/un-climate-change-conference-united-arab-emirates-nov/dec-2023/about-cop-28

Photo Credit: https://www.icao.int/environmental-protection/Pages/COP28.aspx

G20-তে ভারতবর্ষের ভূমিকা



১লা ডিসেম্বর 2022 সালে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে এক বছরের জন্য G20 (Group of Twenty county) দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। G20 ভারতবর্ষের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারতবর্ষ একটি সংস্কৃতিপূর্ণ দেশ, যা বিশ্বমঞ্চে নিজস্ব সংস্কৃতিক বৈচিত্র উদযাপন এবং প্রদর্শন করতে পছন্দ করে।

Group of Twenty country (G20) হল একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক  প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা ও সমন্বয়ের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির নেতাদের একত্রিত করে। দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে একটি হিসেবে এই ফোরাম ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

ভারতবর্ষ ১৯৯৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠিতা সদস্য হিসাবে G20 - তে যোগদান করেছিল  এবং বছরের পর বছর ধরে ভারতবর্ষের অংশগ্রহণের গুরুত্ব বেড়েছে। সম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের অর্থনীতি গড়ে ৬-৭% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে ভারতবর্ষ অবদান রাখতে পারে নিজেস্ব অভ্যন্তরীণ নীতির মাধ্যমে। ভারতবর্ষের সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে, পরিকাঠামো উন্নত করতে এবং উদ্যোক্তাদের উন্নতি করার জন্য গত কয়েক বছরে একাধিক অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে। এই সংস্কারের ফলে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।  উদাহরণস্বরূপ, ভারত সরকার ‘Make in India’ উদ্যোগ চালু করেছে। উৎপাদনকে উন্নতি করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য, ডিজিটাল পরিকাঠামো উন্নত করতে তাছাড়া প্রযুক্তিতে সহজে আদানপ্রদানের জন্য ‘Digital India’ প্রচারণা চালু করেছে। অনান্য G20 অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সাথে নিজেস্ব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে ভারতবর্ষ অনান্য অর্থনৈতিক অনুরূপ নীতি গ্রহণ এবং বিকাশকে ত্বরান্বিত করে চলছে।

বিভিন্ন G20 অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সাথে ভারতবর্ষ জড়িত থাকার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে, তাছাড়া মুক্ত বাণিজ্যের একজন দৃঢ় প্রবক্তা হিসাবে ভারতবর্ষ উন্মুক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করতে অনান্য G20 দেশগুলির সাথে কাজ করতে পারে যা সমস্ত দেশ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে উপকৃত করে।

ভারতবর্ষ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) এর সদস্য এবং কৃষি, পরিষেবা, বুদ্ধিভিত্তিক সম্পত্তির অধিকারের মতো বিভিন্ন বানিজ্য বিষয় নিয়ে আলোচনায় জড়িত। ভারতবর্ষ এই আলোচনায় নিজেস্ব অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে  G20 -এ আলোচনায় অবদান রাখতে এবং একটি নিয়ম ভিত্তিক বানিজ্য ব্যবস্থা প্রচার করে চলছে।

বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় আর্থিক স্থিতিশীলতা এবংসংস্কারের প্রচারেও ভারতবর্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ভারতবর্ষ ব্যাংকিং খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য সংস্কার করেছে,  যার ফলে ব্যাংকিং খাতে উন্নতি সাধিত হয়েছে।

এই ক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতা অন্যান্য G20 দেশগুলির কাছে মূল্যবান হতে পারে, বিশেষ করে যারা আর্থিক খাতের সংস্কার এবং স্থিতিশীলতার সাথে লড়াই করছে।

উপরন্তু, ভারতবর্ষের ক্রমবর্ধমান নবায়নযোগ্য শক্তি বিভাগ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং স্থায়ীত্বের অবদান রেখে চলছে। ভারতবর্ষ তার শক্তির অংশ বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং এই ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের অভিজ্ঞতা অনান্য G20 দেশগুলির জন্য উপযোগী হতে পারে কারণ তারা আরও টেকসই শক্তি ব্যবস্থায় রুপান্তর করতে চায়।

ভারতবর্ষ নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচারের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ চলো করেছে যেমন- আন্তর্জাতিক সৌর জোট, যার লক্ষ ২০৩০ সালের মধ্যে সৌর শক্তি $১ ট্রিলিয়ন বিনিয়োগ সংগ্রহ করা এবং জাতীয় ক্লিন এনার্জি ফান্ড, যা ক্লিন এনার্জি প্রকল্পে অর্থায়ন করে। অনান্য G20 দেশগুলির সাথে তার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে ভারতবর্ষ আরও টেকসই শক্তি ব্যবস্থায় রুপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত স্থায়িত্ব উন্নত করতে সাহায্য করে চলেছে।

অনান্য G20 দেশগুলির সাথে ভারতবর্ষ নিজেস্ব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং স্থায়িত্ব সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা মূলকভাবে কাজ  করে আসছে।

Contributed by:

Tanmoy Chakraborty

Tanmoy is a Sixth Semester student studying Political Science (Hons.) at Maynaguri College.

 Source Links:

https://timesofindia.indiatimes.com/blogs/voices/indias-role-in-the-g20-how-it-can-contribute-to-global-economic-growth-and-stability/

https://moes.gov.in/g20-india-2023/moes-g20?language_content_entity=en#:~:text=As%20it%20takes%20the%20G20,a%20sustainable%20way%20of%20living

 Photo credit - https://images.app.goo.gl/UNmXFyyxCeSZxbso8

রাজ্যে সরকারের বাজেট ২০২৪

লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন:- লক্ষ্মীর ভান্ডার,সিভিক পুলিশ, পশ্চিম বঙ্গ পুলিশের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন জনস্বার্থ প্রকল্প ঘোষণা করেন অর্থ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু আয়ের কোনো পথ দেখালেন না। 

রাজ্য বাজেট নিন্মে   বিস্তারিত  আলোচনা করা হলো:- 

১. রাজ্য পুলিশের বেতন - ১০০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। 

২. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। 

৩. বাইপাসে ৭কিমি ফ্লাইওভার বানানোর জন্য ৭২৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। 

৪. কুকিং হেপ্লারদের  বেতন ১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ। 

৫. তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের জন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। 

৬. মৎস্য জীবীদের জন্য  ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। 

৭. রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিসে প্রচুর কমচারী  নিয়োগ করা হবে। 

৮. দামোদর সেতুর উপর ৬৪০ মিটারের  শিল্প সেতু নির্মাণ। 

৯. লক্ষীর ভান্ডার ৫০০ টাকা এবং ১০০০টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করা হয়েছে। 

১০.কমচারী রা  অবসরপ্রাপ্ত  হলে পেনশন পাবেন ১০ লাখ টাকা । 


এছাড়াও কর্মশ্রী প্রকল্প, কর্মদিবস প্রকল্প, দ্ররিদ্র দের জন্য  ভাতা প্রদান প্রভৃতি।

Contributed by:

Puja Roy

Puja is a First Semester student studying Political Science Major at Maynaguri College.

Friday, February 9, 2024

India rejects Canada’s ‘poll interference’ claim, rebuts ‘Ottawa meddling in country’s internal affairs’

 


Rejecting Canada’s allegations of Indian interference in the country’s elections as “baseless,” New Delhi on Thursday said it is not India’s policy to interfere in the democratic process of other countries.

Targeting Ottawa, MEA Spokesperson Randhir Jaiswal, addressing a press briefing, asserted that “on the reverse side, it was Canada which has been interfering in India’s internal affairs.”

We have seen media reports of Canadian Commission inquiring into foreign interferences… we strongly reject such baseless allegations of Indian interference in Canadian elections. It is not the Government of India’s policy to interfere in the democratic process of other countries, in fact, quite on the reverse, it is Canada which has been interfering in our internal affairs,” he said.

India's ties with Canada may have undergone a tonal shift in recent days says Justin Trudeau.

Meanwhile, the Canadian Security Intelligence Service in its report has alleged that China sought to “clandestinely and deceptively influence” its last two federal elections, whilst also naming India as a foreign interference threat. This top-secret briefing report obtained by Global News also stated that the Canadian government “must do more” to fight foreign interference.

The Foreign Interference activities of the People’s Republic of China are significant, pervasive, and directed against all levels of government and civil society across the country,” the report stated. 

On the “foreign interference of India”, the report predicted that the problem could worsen and “we must do more to protect Canada’s robust democratic institutions and processes.” 

India was the only country mentioned in the report aside from China. Although three pages of the report were devoted to India, they were entirely redacted later to just say a single sentence: “India engages in FI activities.

Contributed by:

Sohan Dey

Sohan is a second semester student studying Political Science (Hons.) at Maynaguri College.

Source: The Indian Express

Link: https://indianexpress.com/article/india/india-rejects-canada-poll-interference-claim-9151133/



 

First Information Report (FIR) কী?

FIR বা First Information Report যা সাধারনত আমরা থানায় লিখিত রূপে কোনও অপরাধের বিরুদ্ধে তথ্য দায়ের করাকে বুঝে থাকি। কিন্তু FIR সম্পর্কে অনেকের মনেই কতগুলি প্রশ্ন  জিজ্ঞাসিত থাকে। চুলুন সেই প্রশ্ন গুলি দেখি ও তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি।

(১) FIR কাকে বলে?

(২) FIR এর উদ্দেশ্য কী?

(৩) FIR করার পদ্ধতি?

(৪) কী করে FIR দাখিল করতে হয়?

(৫) কী কী করলে FIR বাতিল হয়ে যেতে পারে?

FIR কাকে বলে?

FIR বা “First Information Report”শব্দটির কোনো যথার্থ সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি । তবে Section 154. তে উল্লেখ রয়েছে। Handbook of Human Rights and Justice অনুযায়ী FIR হল পুলিশের কাছে  একটি প্রাথমিক সূচনা বিচার্য বা  গুরত্বপূর্ণ অপরাধ সম্পর্কে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে লিখে নেয়। 

আবার অন্যভাবে বলা যেতে পারে FIR হল পুলিশের কাছে প্রদও প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন।

 FIR করার উদ্দেশ্য:

(১)এটি পুলিশের তদন্তের সূচনা করে এবং অপরাধীর গ্রেপ্তার ও বিচারের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। 

(২) এছাড়া এটি ফৌজদারি আপরাধ সম্পর্কে প্রাথমিক রিপোর্ট, যা অনেকসময়  পরে  স্মৃতিবিভ্রম  ও ঘটতে পারে, তাই প্রমান হিসেবেও FIR অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ।

 কী করে FIR  দাখিল করতে হয় ?

(১) FIR দাখিল করতে একজন অপরাধের শিকার (victim)  বা সাক্ষী ও (witness) FIR দাখিল করতে পারে।

(২)সেক্ষেত্রে অপরাধের শিকার বা সাক্ষীকে পুরো ঘটনাটির বিবরন লিখে এবং  সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তি সই করে পুলিশের কাছে জমা দেবেন।

(৩) এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে, কোনো ব্যক্তি যদি নিরক্ষর বা লিখতে অসমর্থ হয় সেক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার নিজে লিখে নেবেন এবং অভিযোগকারীর সই করিয়ে নেবেন। এক্ষেত্রে  যে লিখছেন, কী লিখছেন তা শুনে নেওয়া অভিযোগকারীর অত্যন্ত জরুরি।

এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, যদি পুলিশ অফিসার FIR না নেন তাহলে অভিযোগকারী Court -এ যেতে পারেন।

(৪) এছাড়া FIR -এ মিথ্যা তথ্য দেওয়া IPC-এর Section 203 অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।

(৫) টেলিফোনের মাধ্যমেও FIR দাখিল করা যেতে যেতে পারে। এক্ষেত্রে টেলিফোনের চেয়ে নিজে থানায় গিয়ে অভিযোগ করাটা অধিক গ্রহনযোগ্য।

 FIR করার পদ্ধতি:

FIR করার ক্ষেত্রে কতগুলি দরকারি তথ্য দেওয়া প্রয়োজন। তথ্যগুলি নিম্নরূপঃ

(১) প্রথমে অভিযোগকারী বা  সাক্ষী, অভিযোগকারী হলে অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানা এবং সাক্ষী হলে  সাক্ষীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।

(২) তারপর অভিযুক্ত কারীর নাম ও ঠিকানা (যদি জানা থাকে), না হলে অভিযুক্তের বিবরণ দেওয়া বাঞ্ছনীয়।

(৩) এরপর অপরাধ বা ঘটনার সময়, তারিখ উল্লেখ করতে হবে তদন্তের সুবিধার্থে।

(৪) অপরাধের সম্পূর্ণ বিবরণ করতে হবে, যা ঘটেছে তার সঠিক বিবরণ করতে হবে।

(৫) এছাড়া সেই ঘটনা কালে উপস্থিত সাক্ষীদের পরিচয় দিতে হবে।  এবং সবশেষে

(৬) FIR দাখিল করতে যদি দেরি হয় তার যথার্থ কারন দেখানো।

 এরপর থানার বড়োবাবু বা officer-in- Charge-এর কাছে FIR করতে হবে। এক্ষেত্রে বড়োবাবু উপস্থিত না থাকলে দ্বিতীয় উচ্চপদস্থ অফিসারের কাছে FIR দাখিল করা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে FIR-এর একটি কপি নেওয়া অত্যন্ত্য জরুরি এবং পুলিশ অভিযোগকারীকে বিনা পয়সায় FIR কপি-দিতে বাধ্য থাকেন।

কী কী কারনে FIR বাতিল হয়ে যেতে পারেঃ

আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে FIR বাতিল  বা অভিযোগটি FIR বলে বিবেচিত হয় না। এর কারন হিসেবে বলা যায় যে-

(১)তদন্ত শুরু হওয়ার পর কোনো বক্তব্য।

(২) অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগকারীরা অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ  তথ্য প্রদান করেন এর ফলে FIR বাতিল হয়ে যেতে পারে।

(৩) অনেকক্ষেত্রেই অভিযোগকারী  ভুল তথ্য এবং তারিখ না দেওয়া, সই না করা এক্ষেত্রে সই করা বাঞ্ছনীয় এর কারনেও FIR  বাতিল হয়ে যেতে পারে।

আবার অজ্ঞাত পরিচয়  অভিযোগকারীর চিঠি।

(৪) সাধারণত অপরাধ  ঘটনার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব FIR করা উচিত নয়তো  এর কারনেও FIRবাতিল হয়ে যেতে পারে।

তবে কোর্ট অনেকসময় বিবেচনা করে দেরিতে FIR করার অনুমতি দিতে পারেন। উদাহরপরূপ-  কৃষ্ণা পিল্লাই (১৯৮১) মামলা অভিযোগকারীরা এতটাই শোকাহত ছিলেন সে সুপ্রিম কোর্ট ১২ ঘণ্টা পরেও FIR করার অনুমতি দেয়।

 Contributed by:

Nimai Sarkar


Nimai is a 4th semester student studying Political Science (Hons.) at Maynaguri College.


সূত্রঃ গৌতম মুখোপাধ্যায়, গণতান্ত্রিক চেতনা ও মৌলিক আইন

      

ভারতীয় পণ্য বয়কট' ও 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা বাংলাদেশে দানা বাঁধছে যে কারণে

বাংলাদেশের কিছু  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সাম্প্রতিক জানা যায় যে,বাংলাদেশে “ইন্ডিয়া আউট” নামে ভারত বিরোধী একধরনের প্রচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেখান “পণ্যসহ” ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে নানা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

গত সপ্তাহ দুয়েক বিভিন্ন নেট মাধ্যম থেকে এ প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ “ভারতীয় পণ্য বয়কট” এবং “ইন্ডিয়া আউট” নামে দুটি ভারত বিরোধী প্রচার চালু হয়েছে।যারা এসব প্রচারকার্য চালাচ্ছেন,জানা গেছে তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ কিংবা সরকার-বিরোধী হিসেবে পরিচিত। জানা গেছে এর সাথে ছোটো খাটো রাজনৈতিক দল গুলিরও যোগসূত্র রয়েছে।

সম্প্রতি ইউটিউব মাধ্যম এর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের কিছু শহর, ঢাকা এবং তার আশেপাশের কিছু শহরের অলি- গলিতে এক তরুণ হাতে হ্যান্ড মাইক নিয়ে ভারতীয় পণ্যের বর্জন নিয়ে প্রচারকার্য চালাচ্ছে।

 বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমের এই প্রচারণা গুলি ভারতের অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করছে।

বাংলাদেশের এই প্রচার কাজের বিরুদ্ধে ইউটিউবে ভারতের হয়েও কিছু পাল্টা জবাব লক্ষ্য করা যায়

বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছেও বিভিন্ন প্রশ্ন রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশে কি কি প্রচার হচ্ছে?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট একেএম ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বাংলাদেশ নাগরিক হলেও বর্তমানে দেশের বাইরেই বাস করেন।

গত শুক্রবার তিনি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে “গ্লোবাল টাইমস”নামক একটি পত্রিকার নিউজফিডে টুইট করে নিউজ শেয়ার করেছেন।

সেখানে তিনি ওই নিউজের উদ্বৃত্তি দিয়ে ‘ইন্ডিয়াআউট’ এবং ‘বয়কটইন্ডিয়ানপ্রোডাক্টস’ দুটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন।যে নিউজে বলা হচ্ছে,ভারত নাকি বাংলাদেশের অভ্যন্তীণ ক্রিয়াকলাপে হস্তক্ষেপ করছে বলে এই প্রচারণা চালানো হয়েছে।

ইউটিউব, টুইটার ও ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গত কয়েকদিনে হ্যাশট্যাগ ‘ইন্ডিয়াআউট’, ‘বয়কটইন্ডিয়ানপ্রোডাক্টস’সহ ভারত বিরোধী নানা ধরনের প্রচারণা ও হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।

এই প্রচারকাজে বাংলাদেশের আরো কিছু জনগন এবং বাইরে অবস্থানগত বাংলাদেশিদের অনেককেই অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে।

এই ভারত বিরোধী প্রচারকার্যে গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টির মতো কয়েকটি ক্ষুদ্র দলের নেতা-কর্মীরা সম্পৃক্ত হয়েছেন। ৭ই জানুয়ারি এইসব দলগত অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর থেকে অনেক বাংলাদেশী নেতারাই নানাভাবে ভারত-বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে।

এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে এই প্রচারের কারণে ভারত বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর কি কি প্রভাব পড়তে পারে।

এ বিষয়ে জানা যায়,ভারত ও বাংলাদেশের  প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর মধ্যেও নানান কথোপকথন হয়েছে।

 Contributed by:

Rakhi Sharma

Rakhi is 4th semester student studying Political Science (Hons.) at Maynaguri College.


Source: BBC NEWS বাংলা

Link:https://www.bbc.com/bengali/articles/c0jvg25jw11o

রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০ দিন , পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পুতিনের

মঙ্গলবার (19th November 2024) ১০০০ দিন পূর্ণ করল রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাত। আর এই দিনেই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভ্লাদ...